Ailo Uma Barite / আইলো উমা বাড়িতে
M4A•Episod hem
Manage episode 380531029 series 3411766
Innehåll tillhandahållet av Srijan Kundu. Allt poddinnehåll inklusive avsnitt, grafik och podcastbeskrivningar laddas upp och tillhandahålls direkt av Srijan Kundu eller deras podcastplattformspartner. Om du tror att någon använder ditt upphovsrättsskyddade verk utan din tillåtelse kan du följa processen som beskrivs här https://sv.player.fm/legal.
এই এপিসোডে এক জায়গায় 1757 এর বদলে 1957 বলা হয়েছে, এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী । তথ্য সূত্র - পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি - পর্ব 1,2,3 - বিনয় ঘোষ, দীপ কলকাতা শহরের ইতিবৃত্ত - বিনয় ঘোষ - দীপ তেরো পার্বণের ইতিকথা - জহর সরকার - দেজ চালচিত্র - সুধীর চক্রবর্তী - হরপ্পা আলি নগরের গোলক ধাঁধা - সৌগত বসু - বুকফার্ম কলিকাতা বৃত্তান্ত - কচি পাতা থেকে বাবু কলকাতার পুজো পার্বণ - শুভঙ্কর মাজি দুর্গা পুজোর শুরু কবে ? না প্রশ্নটা ভুল হল। আপনি শ্রীভূমি টাইপের বড় পুজোর লোক হলে বলে বসবেন - হাম যাহা খাড়া হোতে হয়…মানে আমরা পুজো শুরু করলেই পুজোর শুরু। প্রশ্নটা রি ফ্রেজ করি বরং - বাংলায় দুর্গা পুজোর প্রচলন কবে থেকে ? নানা মুনির নানা মত। একটা ছোট বাচ্চার যেমন প্রশ্ন থাকে - আমি এলাম কি করে ? আমাকে কোথা থেকে নিয়ে এলে তোমরা । সেই একই কৌতূহল নিয়ে জানতে চেষ্টা করেছিলাম, বাংলায় দুর্গা পুজোর শুরু কবে? কোথায়? কেন? কীভাবে? উত্তর যে সব পেয়েছি এমন নয় । বরং আরো কিছু প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। আমি সৃজন, আপনার সঙ্গে সেগুলোই শেয়ার করব আমার এই পডকাস্ট সৃজনের পডাবলীর এবারের এপিসোডে। আর এক অলৌকিক দুর্গাপুজোর একটা গল্প বলব শেষে। প্রথমেই জানাই শারদ শুভেচ্ছা। দুর্গা পুজোর শুভেচ্ছাটা বাসন্তী শুভেচ্ছা ও হতে পারত । মার্কণ্ডেয় পুরাণে প্রথম দেবী দুর্গাকে মহিষাসুর বধ করতে দেখা যায়। আর ফিজিক্যাল মূর্তির কথা বললে - রাজস্থানের নাগরে পাওয়া টেরাকোটার মূর্তির কথা বলতেই হয়। খুব সম্ভবত প্রথম শতাব্দীর সেই মূর্তিতে মহিষ, ত্রিশূল, সিংহ সব পাওয়া যায় - তবে দেবী চতুর্ভুজা। তবে গ্লোবালি দেখলে সিংহবাহিনী দেবীর অভাব নেই। মেসোপটেমিয়ায় 'ইসথার' , গ্রিসে 'আস্তারতেন', ট্রয়ে 'সিবিল' - এনারা কয়েক হাজার বছর ধরেই ছিলেন। তবে এই শরৎকালের অকালবোধনের গল্প প্রথম শোনা যায় কৃত্তিবাসী রামায়নে। কিন্তু তখনো দেবী একা। ছেলে মেয়ে নিয়ে ভরা সংসার দেখা যায়নি। ইন ফ্যাক্ট এই ছেলে মেয়ে নিয়ে দেবী দুর্গা একেবারেই বাংলার নিজস্ব কনসেপ্ট। বাকি ভারত এই সময় নবরাত্রি পালন করছে নয় দিন দেবীর নয় রূপে, ভাত রুটি, ময়দা, সুজি, পেঁয়াজ , রসুন, লঙ্কা, মশলা পাতি সব বন্ধ। বাংলায় আজ লুচি তো কাল পাঁঠা। রাস্তায় বেরোলে এগ রোল, চাউমিন, বিরিয়ানী, মোগলাই এসব তো আছেই। যদিও আগে নন ভেজ বলতে মূলত দেবীকে বলি দেওয়া পশুর মাংসই মূলত খাওয়া হত। তবে রাজস্থানের রাজপুতরা বা দেশের অন্যান্য অনেক জায়গায় শাক্ত মতে দেবীর সামনে মহিষ অথবা ছাগল বলি দেওয়ার প্রথা আছে। শুরুর দিকে বাংলার সব পুজোতে এটা কিন্তু ছিল। সময়ের সাথে সাথে এই ব্যাপারটা অলমোস্ট বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এখনো শতাব্দী প্রাচীন কিছু পুজোতে এই প্রথা আছে বলে শোনা যায়। যাই হোক, এখন আমরা ছানা পোনা নিয়ে দেবীর যে রূপ দেখি সেটা খুব সম্ভবত বারো ভূঁইয়ার এক রাজা তাহেরপুরের কংশ নারায়ণ শুরু করেছিলেন। এই তাহেরপুর এখনকার বাংলাদেশের রাজশাহীতে। অন্য দিকে বিষ্ণুপুরের মৃন্ময়ীর যে রূপ আমরা দেখি সেখানেও ছেলে মেয়ে আছে, তবে সিকোয়েন্স আলাদা। লেফট টু রাইট লক্ষী প্রথমে নিচে, গণেশ উপরে, মাঝে দশভুজা দুর্গা, কার্তিক আর ডানদিকে নীচে সরস্বতী। এটা খুব সম্ভবত মল্ল রাজা জগৎ মল্ল শুরু করেছিলেন। এবার যদি আমরা ধরে নেই, এটা জগতমল্ল নয়, বারো ভূঁইয়ার আর এক রাজা বীর হাম্বির শুরু করেছিলেন এই দুর্গা পুজো, যিনি কংশ নারায়ণের সমসাময়িক , তাহলেও মোটামুটি একটা সময়ের আন্দাজ পাওয়া যায়। এছাড়াও এনাদের থেকে কিছু আগে, ফরটিন্থ সেঞ্চুরির রাজা জগৎরাম রায়ের নাম শোনা যায় যিনি নাকি বাংলায় দুর্গোৎসব শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেভাবে কোন ডকুমেন্টেশন না থাকায় এগুলোর কোনটা সত্যি আর কোনটা কেবলই মিথ সেভাবে জানা যায় না। এই রাজাদের থেকেও পুরোনো একজন দুর্গা উপাসক ছিলেন এই বাংলায় - ইছাই ঘোষ। আজ থেকে মোটামুটি হাজার বছর আগে , এখনকার বর্ধমানে জয়দেব কেন্দুলির পূবদিকে অজয়নদের দক্ষিণতীরে গৌরাঙ্গপুর বলে যে গ্রাম আছে, সেটাই খুব সম্ভবত এক সময় ছিল ঢেক্করী বা ঢেকুর বা ত্রিষষ্ঠীগড়। সেখানে ছিলেন রাজা ঈশ্বর ঘোষ বা ইছাই ঘোষ। তিনি দেবী দুর্গার উপাসক। অজয়ের অপরপারে আছে, লাউসেন তলা। লাউসেন ছিলেন ধর্মঠাকুরের উপাসক। লাউসেন যুদ্ধে কিন্তু ইছাই ঘোষকে হারিয়ে দেন। অর্থাৎ বাংলার নিজের দেবতা ধর্ম, যিনি রাস্তার ধারে গাছের তলায় পাথর রূপে থাকতেন, তিনি কিন্তু লড়াই করে বৈদিক দেবতাকে হারিয়ে দিতেন। মধ্যযুগ পর্যন্ত বাংলায় লোকদেবীর যে প্রাধান্য, ষষ্ঠী, শীতলা, মনসা, ধর্ম সেটা আস্তে আস্তে মেনস্ট্রিমে মিশতে থাকে মঙ্গলকাব্যর সময় থেকে। মুকুন্দরাম, রূপরাম, ঘনরাম, খেলারাম এনারা লেখেন - মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল। একইভাবে শিবায়নে শিব হয়ে ওঠেন আমাদের নির্ভেজাল বাঙালি ভোলানাথ। উত্তর ভারতীয় শিবের চেহারা আর বাংলায় ভুঁড়িওয়ালা শিবের চেহারায় যে পার্থক্য সহজেই লক্ষ্য করা যায়।
…
continue reading
79 episoder